#রোগ_বাতায়ন-৩ মাইগ্রেন (Migraine) 
🧠 What is Migraine?
মাইগ্রেন (Migraine) একটি নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, যা সাধারণ মাথাব্যথার চেয়ে অনেক বেশি তীব্র হয়।এটি সাধারণত একপাশে হয় এবং দীর্ঘসময় ধরে থাকতে পারে।
📊 Epidemiology
নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায় – পুরুষের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি।
সবচেয়ে বেশি হয় ২০-৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে।
⚠️ Trigger Factors (উদ্দীপক কারণসমূহ):
1️⃣ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত ঘুম
2️⃣মানসিক চাপ বা স্ট্রেস
3️⃣হরমোন পরিবর্তন (মেয়েদের পিরিয়ড, ওসট্রোজেন লেভেল)
4️⃣কিছু খাবার: চকলেট, চিজ, ক্যাফেইন, রেড ওয়াইন
4️⃣উজ্জ্বল আলো, উচ্চ শব্দ
5️⃣অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস
🟥মাইগ্রেনের লক্ষণসমূহ:
⬇️মাথাব্যথা – সাধারণত মাথার এক পাশে তীব্র ও ধাবমান ব্যথা (throbbing pain)।
⬇️বমিভাব বা বমি – অনেকেই মাথাব্যথার সঙ্গে বমিভাব বা বমি অনুভব করেন।
⬇️আলো ও শব্দে সংবেদনশীলতা – আলো ও শব্দকে অসহনীয় মনে হয়।
⬇️দৃষ্টিবিভ্রম (Aura) – কিছু রোগী দৃষ্টিতে ঝিলমিল, দৃষ্টিবন্ধকতা বা অস্থায়ী অন্ধত্ব অনুভব করতে পারেন (মাইগ্রেন উইথ অরা)।
⬇️ঘাম হওয়া বা শরীর ঠাণ্ডা লাগা
⬇️ঘুমের সমস্যা বা ক্লান্তি অনুভব করা
⬇️মেজাজ খারাপ বা মনোযোগে ঘাটতি
⛔মাইগ্রেনের পর্যায়গুলো (সব রোগীর ক্ষেত্রে সব পর্যায় দেখা যায় না):
▶️প্রোড্রোম (Prodrome) – মাথাব্যথার কয়েক ঘণ্টা বা কয়েকদিন আগে ক্লান্তি, বদহজম, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
▶️অরা (Aura) – ঝাপসা দৃষ্টি, চোখে আলোর রেখা দেখা, কথা বলতে কষ্ট ইত্যাদি হতে পারে (সবাই অরা অনুভব করেন না)।
▶️মেইন অ্যাটাক (Attack) – তীব্র মাথাব্যথা শুরু হয়, যা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত চলতে পারে।
▶️পোস্টড্রোম (Postdrome) – ব্যথা চলে যাওয়ার পরও ক্লান্তি, বিভ্রান্তি বা শরীর দুর্বল লাগতে পারে।
🧩 Pathophysiology (সহজ ভাষায়):
ব্রেইনের ব্লাড ভেসেলে স্নায়ুর অস্বাভাবিক উত্তেজনা তৈরি হয়।
সেরেটোনিন এবং অন্য নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর অস্থিরতা মাইগ্রেনের মূল কারণ।
🧘♀️ Lifestyle & Prevention:
✅ট্রিগার এড়িয়ে চলা
✅রেগুলার ঘুম ও খাওয়ার অভ্যাস
✅স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট (Yoga, meditation)
📌 Key Takeaways:
🟡মাইগ্রেন কোনো সাধারণ মাথাব্যথা নয় – এটি একটি নিউরো-ভাসকুলার কন্ডিশন।
🟠নির্দিষ্ট ট্রিগার চিনে নেয়া এবং সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।
🟠সচেতনতা ও lifestyle পরিবর্তন মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
উপদেশমালা
✅ যা করবেন:
🔹নিয়মিত ঘুম ও খাওয়া: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো-জাগা ও খাওয়া অভ্যাস করুন।
🔹ট্রিগার চিনে নিন: কোন খাবার বা পরিবেশে ব্যথা বাড়ে, সেটা খেয়াল করুন। 
🔹প্রচুর পানি পান করুন: Dehydration মাইগ্রেনের বড় কারণ।
🔹চোখে রোদ না লাগানো: বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।
🔹স্ট্রেস কমান: ধ্যান করা (meditation), হালকা ব্যায়াম বা বই পড়ার মতো মানসিক প্রশান্তির কাজ করুন।
🔹ব্যথা শুরু হতেই ওষুধ নিন: দেরি করবেন না। নির্ধারিত ওষুধ সময়মতো খাওয়া জরুরি।
🔹শান্ত, অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম নিন ব্যথা চলাকালে।
❌ যা এড়িয়ে চলবেন:
🚫চকলেট, চিজ, রেড ওয়াইন – এগুলো অনেকের মাইগ্রেন ট্রিগার করে।
🚫অনিয়মিত ঘুম ও খাওয়া।
🚫ক্যাফেইন অতিরিক্ত পরিমাণে।
🚫উজ্জ্বল আলো ও উচ্চ শব্দ।
🚫হঠাৎ খুব বেশি পরিশ্রম বা অনিদ্রা।
⚠️ কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন:
↘️হঠাৎ শুরু হওয়া প্রবল মাথাব্যথা
↘️যেসব ব্যথা আগের তুলনায় ভিন্ন বা তীব্র
↘️সঙ্গে উচ্চ জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি, বিভ্রান্তি
↘️দৈনন্দিন কাজকর্মে বড় বাধা সৃষ্টি করে এমন ব্যথা
💬 বিশেষ পরামর্শ:
🔁যদি মাসে ৪ বারের বেশি মাইগ্রেন হয়, তাহলে প্রিভেন্টিভ ওষুধ শুরু করা যায়—ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
🔁নিজে নিজে ওষুধ না বদলান।
Dr.Abdullah Nayon
MBBS(DU)
যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন।
