আমার সম্পর্কে

আমার ফটো
mymensing, , Bangladesh
Dr.Abdullah Nayon MBBS(DU) Mymensingh medical College M-55

রবিবার, ১১ মে, ২০২৫

মাইগ্রেন (Migraine)

#রোগ_বাতায়ন-৩ মাইগ্রেন (Migraine) 

🧠 What is Migraine?
মাইগ্রেন (Migraine) একটি নিউরোলজিক্যাল সমস্যা, যা সাধারণ মাথাব্যথার চেয়ে অনেক বেশি তীব্র হয়।এটি সাধারণত একপাশে হয় এবং দীর্ঘসময় ধরে থাকতে পারে।

📊 Epidemiology
নারীদের মধ্যে বেশি দেখা যায় – পুরুষের চেয়ে প্রায় ৩ গুণ বেশি।
সবচেয়ে বেশি হয় ২০-৪৫ বছর বয়সীদের মধ্যে।

⚠️ Trigger Factors (উদ্দীপক কারণসমূহ):
1️⃣ঘুমের অভাব বা অতিরিক্ত ঘুম
2️⃣মানসিক চাপ বা স্ট্রেস
3️⃣হরমোন পরিবর্তন (মেয়েদের পিরিয়ড, ওসট্রোজেন লেভেল)
4️⃣কিছু খাবার: চকলেট, চিজ, ক্যাফেইন, রেড ওয়াইন
4️⃣উজ্জ্বল আলো, উচ্চ শব্দ
5️⃣অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস

🟥মাইগ্রেনের লক্ষণসমূহ:

⬇️মাথাব্যথা – সাধারণত মাথার এক পাশে তীব্র ও ধাবমান ব্যথা (throbbing pain)।

⬇️বমিভাব বা বমি – অনেকেই মাথাব্যথার সঙ্গে বমিভাব বা বমি অনুভব করেন।

⬇️আলো ও শব্দে সংবেদনশীলতা – আলো ও শব্দকে অসহনীয় মনে হয়।

⬇️দৃষ্টিবিভ্রম (Aura) – কিছু রোগী দৃষ্টিতে ঝিলমিল, দৃষ্টিবন্ধকতা বা অস্থায়ী অন্ধত্ব অনুভব করতে পারেন (মাইগ্রেন উইথ অরা)।

⬇️ঘাম হওয়া বা শরীর ঠাণ্ডা লাগা

⬇️ঘুমের সমস্যা বা ক্লান্তি অনুভব করা

⬇️মেজাজ খারাপ বা মনোযোগে ঘাটতি

⛔মাইগ্রেনের পর্যায়গুলো (সব রোগীর ক্ষেত্রে সব পর্যায় দেখা যায় না):
▶️প্রোড্রোম (Prodrome) – মাথাব্যথার কয়েক ঘণ্টা বা কয়েকদিন আগে ক্লান্তি, বদহজম, খিটখিটে মেজাজ ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দিতে পারে।

▶️অরা (Aura) – ঝাপসা দৃষ্টি, চোখে আলোর রেখা দেখা, কথা বলতে কষ্ট ইত্যাদি হতে পারে (সবাই অরা অনুভব করেন না)।

▶️মেইন অ্যাটাক (Attack) – তীব্র মাথাব্যথা শুরু হয়, যা কয়েক ঘণ্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত চলতে পারে।

▶️পোস্টড্রোম (Postdrome) – ব্যথা চলে যাওয়ার পরও ক্লান্তি, বিভ্রান্তি বা শরীর দুর্বল লাগতে পারে।

🧩 Pathophysiology (সহজ ভাষায়):
ব্রেইনের ব্লাড ভেসেলে স্নায়ুর অস্বাভাবিক উত্তেজনা তৈরি হয়।
সেরেটোনিন এবং অন্য নিউরোট্রান্সমিটারগুলোর অস্থিরতা মাইগ্রেনের মূল কারণ।

🧘‍♀️ Lifestyle & Prevention:
✅ট্রিগার এড়িয়ে চলা

✅রেগুলার ঘুম ও খাওয়ার অভ্যাস

✅স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট (Yoga, meditation)

📌 Key Takeaways:
🟡মাইগ্রেন কোনো সাধারণ মাথাব্যথা নয় – এটি একটি নিউরো-ভাসকুলার কন্ডিশন।

🟠নির্দিষ্ট ট্রিগার চিনে নেয়া এবং সময়মতো চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।

🟠সচেতনতা ও lifestyle পরিবর্তন মাইগ্রেন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

উপদেশমালা
✅ যা করবেন:
🔹নিয়মিত ঘুম ও খাওয়া: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো-জাগা ও খাওয়া অভ্যাস করুন।

🔹ট্রিগার চিনে নিন: কোন খাবার বা পরিবেশে ব্যথা বাড়ে, সেটা খেয়াল করুন। 

🔹প্রচুর পানি পান করুন: Dehydration মাইগ্রেনের বড় কারণ।

🔹চোখে রোদ না লাগানো: বাইরে গেলে সানগ্লাস ব্যবহার করুন।

🔹স্ট্রেস কমান: ধ্যান করা (meditation), হালকা ব্যায়াম বা বই পড়ার মতো মানসিক প্রশান্তির কাজ করুন।

🔹ব্যথা শুরু হতেই ওষুধ নিন: দেরি করবেন না। নির্ধারিত ওষুধ সময়মতো খাওয়া জরুরি।

🔹শান্ত, অন্ধকার ঘরে বিশ্রাম নিন ব্যথা চলাকালে।

❌ যা এড়িয়ে চলবেন:
🚫চকলেট, চিজ, রেড ওয়াইন – এগুলো অনেকের মাইগ্রেন ট্রিগার করে।
🚫অনিয়মিত ঘুম ও খাওয়া।
🚫ক্যাফেইন অতিরিক্ত পরিমাণে।
🚫উজ্জ্বল আলো ও উচ্চ শব্দ।
🚫হঠাৎ খুব বেশি পরিশ্রম বা অনিদ্রা।

⚠️ কখন ডাক্তারের শরণাপন্ন হবেন:
↘️হঠাৎ শুরু হওয়া প্রবল মাথাব্যথা
↘️যেসব ব্যথা আগের তুলনায় ভিন্ন বা তীব্র
↘️সঙ্গে উচ্চ জ্বর, ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া, খিঁচুনি, বিভ্রান্তি
↘️দৈনন্দিন কাজকর্মে বড় বাধা সৃষ্টি করে এমন ব্যথা

💬 বিশেষ পরামর্শ:
🔁যদি মাসে ৪ বারের বেশি মাইগ্রেন হয়, তাহলে প্রিভেন্টিভ ওষুধ শুরু করা যায়—ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
🔁নিজে নিজে ওষুধ না বদলান।

Dr.Abdullah Nayon
MBBS(DU)
যেকোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন।

শনিবার, ১০ মে, ২০২৫

Eczema

রোগ_বাতায়ন-২ একজিমা(Eczema)– একটি পরিচিত অস্বস্তি

🌿 একজিমা কী?

একজিমা হলো ত্বকের একটি প্রদাহজনিত সমস্যা, যাতে চুলকানি, লালচে ভাব, শুষ্কতা ও কখনও ফোসকা দেখা দিতে পারে। এটি সংক্রামক নয়, কিন্তু বেশ অস্বস্তিকর।
এটি মূলত একটি ইমিউন সিস্টেমের সমস্যা যার ফলে ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা বজায় রাখার ক্ষমতা কমে যায় এবং ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণের সম্ভাবনা বাড়ে। এর আর একটি বৈশিষ্ট্য  হলে স্ক্র্যাচ করলে, এই ঘাগুলি সংক্রমিত হতে পারে।

🧬 কেন হয় একজিমা?

এর পেছনে থাকতে পারে –
↗️জেনেটিক কারণ: যাদের পরিবারে অ্যালার্জি, হাঁপানি বা একজিমার ইতিহাস রয়েছে, তাদের একজিমা হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
↗️অ্যালার্জেন: ধুলাবালি, পোষা প্রাণীর লোম, ফুলের রেণু এবং কিছু খাবার অ্যালার্জি সৃষ্টি করে একজিমা বাড়াতে পারে।
↗️পরিবেশগত কারণ: অতিরিক্ত ঠাণ্ডা, গরম, ঘাম বা শুষ্ক আবহাওয়া একজিমা হওয়ার কারণ হতে পারে।
↗️ইমিউন সিস্টেমের সমস্যা: ত্বকের ব্যারিয়ার ফাংশন দুর্বল হলে ত্বক সংবেদনশীল হয়ে পড়ে এবং একজিমা দেখা দেয়।
↗️অতিরিক্ত স্ট্রেস: মানসিক চাপ একজিমা বাড়াতে পারে।

👶 শিশুদের একজিমা:

শিশুদের মধ্যে এটপিক ডার্মাটাইটিস নামে এক ধরনের একজিমা বেশি দেখা যায়। গাল, কনুই, হাঁটুতে লালচে ও শুষ্ক ভাব দেখা দেয়।

🧓 বয়স্কদের একজিমা:

✅শুষ্ক ত্বক
✅ত্বকে তীব্র চুলকানি যা রাতে জ্বলে
✅মুখ, ঘাড়, বুক, হাত, কব্জি, গোড়ালি এবং পায়ে লাল থেকে বাদামী-ধূসর ম্যাকুলস বা প্যাপিউলস তৈরি হয়      
✅ফাটা এবং আঁশযুক্ত ত্বক
✅এপিডার্মিসে ক্ষুদ্র, তরল-ভরা, উত্থিত বাম্প দেখা যায়। আপনি যদি তাদের স্ক্র্যাচ করেন তবে তারা তরল নিঃসরণ করতে থাকে
✅সংবেদনশীল এবং ফোলা ত্বক

🧴 চিকিৎসা ও ব্যবস্থাপনা:

🔹 ত্বক মোয়েশ্চারাইজ করে রাখা (অ্যালার্জি-ফ্রি লোশন/ক্রিম)
🔹 অ্যালার্জির উৎস পরিহার করুন।
🔹 প্রয়োজনে ডাক্তারি পরামর্শে স্টেরয়েড বা অ্যান্টিহিস্টামিন ওষুধ ব্যবহার করুন।
🔹নখ দিয়ে স্ক্র‍্যাচ করা থেকে পরিহার করুন।
🔹আক্রান্ত স্থান ঢেকে দিন
ত্বকের সুরক্ষার জন্য একটি পরিষ্কার এবং জীবাণুমুক্ত ব্যান্ডেজ দিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ঢেকে দিন। আচ্ছাদন জীবাণুকে প্রবেশ করতে বাধা দেয় এবং এটি আপনার স্ক্র্যাচিং থেকেও বাঁচায়।
🔹একটি গরম স্নান করুন
10 থেকে 15 মিনিটের জন্য একটি উষ্ণ স্নান করে নিতে পারেন,স্নানের পরপরই ত্বকের হাইড্রেশন ধরে রাখতে ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন।
🔹হালকা সাবান ব্যবহার করুন
 ত্বকে শুধুমাত্র হালকা সাবান ব্যবহার করুন। সুগন্ধিযুক্ত সাবান বা কৃত্রিম রংযুক্ত সাবান ব্যবহার করবেন না, কারণ তারা আপনার ত্বককে আরও জ্বালাতন করতে পারে। সাবান লাগানোর পর আপনার শরীর ভালো করে ধুয়ে ফেলতে ভুলবেন না।
🔹মানসিক চাপ পরিহার করুন।

🚫 যা এড়ানো উচিত:

✖️ সুগন্ধিযুক্ত প্রসাধনী
✖️ অতিরিক্ত গরম পানি
✖️ ত্বক চুলকানো বা ঘষা

✅ একজিমা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব, যদি সচেতন থাকেন। চিকিৎসা নিন, সুস্থ থাকুন।

📞আপনার ত্বকের যেকোনো সমস্যায় পরামর্শ নিতে পারেন আমাদের মেসেঞ্জারে যোগাযোগ করে। 

UTI

#রোগ_বাতায়ন -১

🧬 ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন (UTI): 

🔶 অনেকেই লজ্জায় বা অবহেলায় UTI এর উপসর্গগুলোকে গুরুত্ব দেন না। অথচ সময়মতো চিকিৎসা না নিলে এটি কিডনির জটিল রোগের কারণ হতে পারে।

🔹 UTI কী?

UTI বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হলো মূত্রনালিতে জীবাণুর সংক্রমণ। এটি সাধারণত মহিলাদের বেশি দেখা যায়, তবে পুরুষদের মধ্যেও হতে পারে।

🔹 লক্ষণগুলো কী কী?

✅ ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ
✅ প্রস্রাবের সময় জ্বালাপোড়া
✅ প্রস্রাবে দুর্গন্ধ/রক্ত মিশ্রিত প্রস্রাব
✅ নিচের পেটে ব্যথা
✅ কখনো কখনো জ্বর ও কাঁপুনি

🔹 কেন হয়?

🔸 অপরিষ্কার টয়লেট ব্যবহার
🔸 কম পানি পান করা
🔸 দীর্ঘক্ষণ প্রস্রাব চেপে রাখা
🔸 যৌন সংক্রমণ
🔸 ডায়াবেটিস বা প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া

🔹 প্রতিরোধে করণীয়

💧 প্রতিদিন ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
🚽 পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন টয়লেট ব্যবহার করুন।
🎈সহবাসের পূর্বে ও পরে প্রসাব করবেন।
🛑 প্রস্রাব আটকে রাখবেন না।
🩲 মাসিকের সময় স্যানিটারি প্যাড/পরিষ্কার কাপড় ব্যবহার করুন।
♦️পায়খানার পর পানি ব্যবহারের সময় বাম হাত সামনে থেকে পিছনে নিয়ে যাবেন।পিছন থেকে সামনে আনবেন না।

🔹 চিকিৎসা:

👉 লক্ষণ দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
👉 সম্পূর্ণ অ্যান্টিবায়োটিক কোর্স শেষ করুন
👉 ঘরোয়া চিকিৎসা নয় – সঠিক পরীক্ষা ও চিকিৎসা জরুরি

📞 প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন –

ডা.আবদুল্লাহ নয়ন
এমবিবিএস (ঢাবি)
inbox or WhatsApp 
01734-327293 
আপনার সুস্থতা আমাদের অঙ্গীকার 💙